বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় সড়ক থেকে মনজুরুল ইসলাম (৫৬) নামের এক সাংবাদিকের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১১টার দিকে মুরইল বাজারের জয় ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে নওগাঁ-বগুড়া সড়কের ওপর মনজুরুলের দ্বিখণ্ডিত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তার দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মনজুরুল দৈনিক ভোরের কাগজ-এর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। তিনি আদমদীঘি উপজেলার উজ্জলতা গ্রামের মরহুম মোহাম্মাদ আলী মাস্টারের ছেলে এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মনজুরুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত গ্রামের একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলে করে তার এক আত্মীয়কে পাশের দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে দিয়ে আসতে যান। সেখান থেকে তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন সড়কের ওপর মনজুরুলের মরদেহ দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং পুলিশে খবর দেন। তার মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে পড়ে ছিল।
আদমদীঘি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বুধবার রাতে সাংবাদিক মনজুরুলের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য সেটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সুরতহালে দেখা গেছে মনজুরুলের কোমরের অংশ দ্বিখণ্ডিত ছিল। বড় কোনো গাড়ির চাকার চাপে শরীরের নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি বলেন, ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে নিহতের স্বজনেরা তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তারা হত্যা মামলা করতে চান।
আদমদীঘি প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কারও দেহ সচরাচর দ্বিখণ্ডিত হয় না। এ ছাড়া তার শরীরের জামাকাপড় ও মাথার হেলমেট অক্ষত অবস্থায় ছিল। তাই এটি দুর্ঘটনা ছিল বলে আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের দাবি জানাই।